May 20, 2025

২০২৩ সালে বাংলাদেশে আসছে ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সার্ভিস স্টারলিংক!!!

0

মাস্কের স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সার্ভিস স্টারলিংক বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ২০২৩ সাল থেকে । স্টারলিংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ থেকে প্রিঅর্ডার করা যাচ্ছে।

Screenshot (18)

ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সার্ভিস স্টারলিংক বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ২০২৩ সাল থেকে । স্টারলিংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ থেকে প্রিঅর্ডার করা যাচ্ছে ।

যদিও, বাংলাদেশে ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক সেবা প্রদান সম্পর্কে বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান বলেছেন, ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান এখনো বাংলাদেশে এই পরিষেবার জন্য আবেদন করেনি। আবেদনের আগেই প্রি অর্ডার যেভাবে নিচ্ছে সেটি আইনবিরোধী !

এর আগে ২০২২ সালে ভারতে স্টারলিংক চালুর আশায় গত বছরের নভেম্বরে ভারতে স্টারলিংক এর প্রি-অর্ডার সেবা চালু করলেও এবং ৫০০০ এর বেশি অর্ডার পেলেও, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানের জন্য লাইসেন্স না থাকায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম অবৈধ বলে ভারতের ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকম। পাশাপাশি নিজেদের নাগরিককে স্টারলিংক সেবার জন্য প্রি-অর্ডার দিতে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়। এর পর পরই লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করে সংস্থাটি এবং ভারতে নিজেদের প্রি-অর্ডার বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এখনও ভারতে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লাইসেন্স পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে এখনও বন্ধ রয়েছে প্রি-অর্ডার নেওয়া।

কিন্তু, এই স্টারলিংক জিনিসটা আসলে কি?

স্টারলিঙ্ক হলো স্যাটেলাইট ভিত্তিতে ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানের জন্য স্পেস এক্স (SpaceX) কতৃক তৈরী একটি কৃত্রিম উপগ্রহ।

স্টার লিংক এর পরিচিতি : স্টার লিংক হলো স্পেস এক্স (SpaceX) কতৃক তৈরী একটি কৃত্রিম উপগ্রহ। যার মাধ্যমে প্রত্যান্ত অঞ্চলেও দ্রুত গতির ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদান করা সম্ভব। এই স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে (LEO) হাজার হাজার ছোট কৃত্রিম উপগ্রহ থাকবে যা ভূমির ট্রান্সসিভারের সাথে একত্রে কাজ করবে। এই প্রজেক্টের প্রধান রুপকার হচ্ছেন ইলন মাস্ক।২০১৮ সালের মে মাসে এই স্যাটেলাইট প্রকল্পটির নকশা, নির্মাণ এবং স্থাপনের জন্য ব্যয় হিসাবে প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমান করেছিল স্পেসএক্স।

২০১৫ সালে স্টারলিংক প্রজেক্টটি শুরু হয়েছিল এবং ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুটি প্রোটোটাইপ উপগ্রহ পরীক্ষামূলক যাত্রার জন্য উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের মে মাসে আরও কিছু পরীক্ষামূলক উপগ্রহ ও ৬০টি ব্যবহারযোগ্য উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়।

স্টার লিংকের ব্যবহার

স্টার লিংক প্রজেক্টের প্রধান কাজ হচ্ছে স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদান। স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবস্থার কারনে দূর্গম এবং প্রত্যান্ত অঞ্চল গুলোতে নিরবিচ্ছিন্ন এবং দ্রুত গতির ইন্টারনেট সার্ভিস দেয়া সম্ভব। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদান ছাড়াও এটি সামরিক, বৈজ্ঞানিক বা গবেষণামূলক কাজে ব্যবহার করা হবে।

স্টার লিংকের সংক্রান্ত কিছু তথ্য

প্রস্তুতকারকস্পেস এক্স
উৎস দেশযুক্তরাষ্ট্র
রক্ষনাবেক্ষনকারী প্রতিষ্ঠানস্পেস এক্স
ব্যবহারইন্টারনেট সুবিধা প্রদান
মহাকাশযানের ধরনছোট উপগ্রহ
উৎক্ষেপণ ভরv 0.9: 227 kg
প্রথম উৎক্ষেপণ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
শেষ উৎক্ষেপণ২৫ নভেম্বর ২০২০

স্টার লিংক ইন্টারনেট দাম ও প্যাকেজ

সবার মনে প্রশ্ন হচ্ছে, স্পেসএক্স স্টারলিংক বাংলাদেশে কত দাম পড়বে?
স্পেসএক্স স্যাটেলাইট ইন্টারনেটে ব্যবহার করতে গ্রাহককে সংযোগ ফি দিতে হবে এককালীন ৫০ হাজার টাকা। এ জন্য মাসিল বিল পরিশোধ করতে হবে ৯ হাজার টাকার বেশি। যার ডাউনলোড স্পিড হবে ৫০ থেকে ২০০ এমবিপিএস।

এছাড়াও আরো একটি লাক্সারি প্যাকেজ রয়েছে স্টার লিংকের, যার স্পিড হবে ১৫০ থেকে ৫০০ এমবিপিএস। লাক্সারি প্যাকেজে গ্রাহককে খরচ করতে হবে ৪০ হাজার টাকারও বেশি এবং এককালীন মূল্য পরিশোধ করতে হবে ২ লাখ ১০ হাজার টাকার ও বেশি।

স্পেসএক্স’র অফিসিয়াল টুইটবার্তায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেনের কিছু অংশসহ বিশ্বের ৩২টি দেশে স্টারলিংকের ব্রডব্যান্ড সেবা চালু রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 2 =